শিবপুর প্রতিনিধি: শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁওয়ের মৃত টুকু মিয়ার মেয়ে সুমি বেগম (৩০) তার ভাসুর মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৫৫/২১।
মামলায় বলা হয়েছে, সুমি বেগমের স্বামীর জায়গা থেকে তার ভাসুর ৬০ টি কাঁঠাল নিয়ে যায়। বাধা দিলে তাকে মারপিট করে।
এ মামলায় সুমি বেগমের সাক্ষী পুটিয়া ইউনিয়নের পাঁচভাগ এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিম মৃধা (৪৫), মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), সেলিমের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৮)।
সাক্ষীগনের অভিযোগ, আমাদেরকে এই মামলায় স্বাক্ষী বানানো হয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাদেরকে সুমি বেগম অযথা হয়রানি করছে।
মামলায় অভিযুক্ত মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমার ভাই যখন বিদেশে ছিলো। তখন সুমি বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলো। আমার ভাই বিদেশ থেকে প্রতিমাসে সুমির কাছে টাকা পাঠাতো। ভাই যখন বিদেশ থেকে বাড়িতে আসে তখন সুমি পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যার ঘটনা ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় সুমির দেয়া সাক্ষীরা আদালতে যায়নি। কারণ তারা সাক্ষী তা জানেই না। আর পুলিশ তদন্ত রিপোর্টে বলছে স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে আমি নাকি স্বাক্ষীদেরকে হুমকি ধমকি দিচ্ছি তাই তারা সাক্ষী দিতে যায়নি। আসলে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি তাদের কোনো হুমকি ধমকি দেইনি।
মামলার সাক্ষী আনোয়ার হোসেন বলেন, ওইপাড়ার সুমি বেগম আমাকে তার মামলায় সাক্ষী বানিয়েছে। এই ব্যাপারে আমি কিছু জানিই না। আমি সারাদিন গাড়ি চালাই তাদের বাড়িতে কি হয়েছে না হয়েছে আমি কীভাবে জানবো? আমার বাড়িতে কোনো পুলিশ তদন্তেও আসেনি। আর আমার সাথে এব্যাপারে কোনো পুলিশ কথাও বলেনি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। তাই সাক্ষী দিতে যাইনি।
সেলিম মৃধা বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়েই সুমি সাক্ষী বানিয়েছে। আমি এব্যাপারে কিছু জানি না। আর এই বিষয়ে তদন্তের জন্য আমার কাছে কোনো পুলিশ আসেনি।
সাজেদা বেগম বলেন, আমি চাকরি করি। সারাদিন কাজে থাকি। তাদের বাড়িতে কি হয়েছে না হয়েছে আমি কিছুই জানি না। আমাকে স্বাক্ষী বানানো হয়েছে। আমাকে সাক্ষী বানিয়ে অযথা হয়রানি করছে। সুমি বেগমকে আমি চিনিই না। আর পুলিশ তদন্তের জন্য আসেনি। আমাকে কোনো পুলিশ তদন্তের জন্য এব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেসও করেনি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সুমি বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখানে দুই একজন স্বাক্ষী পরিবর্তন করা হবে। আমি এখন কিছু বলবো না। আগামীকাল সরাসরি থানায় গিয়ে যা বলার বলবো।
এব্যাপারে বক্তব্য নিতে তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিবপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ নুরুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।